Recent Post

6/recent/ticker-posts

তুলসী ( ঔষধি গুনাগুণ )



তুলসী (ইংরেজি: holy basil, বা tulasī) (বৈজ্ঞানিক নাম: Ocimum Sanctum) একটি ঔষধিগাছ। তুলসী অর্থ যার তুলনা নেই। তুলসী গাছ লামিয়াসি পরিবারের অন্তর্গত একটি সুগন্ধী উদ্ভিদ। হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে এটি একটি পবিত্র উদ্ভিদ হিসাবে সমাদৃত। ব্রহ্মকৈবর্তপুরাণে তুলসীকে 'সীতাস্বরূপা', স্কন্দপুরাণে 'লক্ষীস্বরূপা', চর্কসংহিতায় 'বিষ্ণুপ্রিয়া', ঋকবেদে 'কল্যাণী' বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

বর্ণনা

একটি একক তুলসী ফুল (বিবর্ধিত চিত্র)

তুলসী একটি ঘন শাখা প্রশাখা বিশিষ্ট ২/৩ ফুট উঁচু একটি চিরহরিৎ গুল্ম। এর মূল কাণ্ড কাষ্ঠল, পাতা ২-৪ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। পাতার কিনারা খাঁজকাটা, শাখাপ্রশাখার অগ্রভাগ হতে ৫টি পুষ্পদণ্ড বের হয় ও প্রতিটি পুষ্পদণ্ডের চারদিকে ছাতার আকৃতির মত ১০-২০ টি স্তরে ফুল থাকে। প্রতিটি স্তরে ৬টি করে ছোট ফুল ফোটে। এর পাতা, ফুল ও ফলের একটি ঝাঁঝালো গন্ধ আছে। তুলসী গাছ পরিবেশে প্রচুর পরিমানে অক্সিজেন সরবরাহ করে, একারণে একে 'অক্সিজেনের ভাণ্ডার' বলা হয়।

প্রাপ্তিস্থান

বাংলাদেশ ও ভারতের প্রায় সর্বত্র দেখা যায়। হিন্দুবাড়িতে বেশি দেখা যায়, পূজায় ব্যবহার হয়। ভারতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। জুলাই, আগস্ট বা নভেম্বর, ডিসেম্বর মাসে এতে মঞ্জরী দেখা দেয়। সমতলভূমি থেকে শুরু করে হিমালয়ের পাদদেশে প্রায় ৬০০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত এদের জন্মাতে দেখা যায়।

ব্যবহার

তুলসী গাছের নানা ঔষধি ব্যবহার রয়েছে। সর্দি, কাশি, ঠাণ্ডা লাগা ইত্যাদি নানা সমস্যায় তুলসী ব্যবহার করা হয়। এ গাছের রস কৃমি ও বায়ুনাশক। ঔষধ হিসাবে এই গাছের ব্যবহার্য অংশ হলো এর রস, পাতা এবং বীজ। বাংলাদেশে যে চার প্রকার তুলসী গাছ দেখা যায় সেগুলি হলো: বাবুই তুলসীরামতুলসীকৃষ্ণ-তুলসী, ও শ্বেত তুলসী

চিত্রশালা





Post a Comment

0 Comments

Ad Code